fbpx
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী লাইভ ক্লাসের ব্যাপারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যাপক আগ্রহ থাকার পরেও সেই অর্থে সহজে ব্যবহারযোগ্য কোনো ভাল অ্যাপ বা সফটওয়্যার না থাকায় শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ব্যাপক বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করেছি, তাঁরা কী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন সেসব খুঁজে বের করে সেই অনুযায়ী সমাধান নিয়ে আসার জন্য।

বেশিরভাগ শিক্ষকেরা কোনো অ্যাপ এর আওতায় ক্লাস অনুযায়ী গ্রুপ খুলছেন, সেখানে তার ভিডিও আপ করছেন। এতে করে সত্যিকার ক্লাসরুমের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হচ্ছে না। শিক্ষকের পক্ষে জানা সম্ভব হচ্ছে না, আদৌ কোনো শিক্ষার্থী ভালভাবে তার ক্লাসটি দেখেছে কিনা। ক্লাস চলাকালীন যে উভয়মুখী যোগাযোগ ক্লাসকে প্রাণবন্ত করে সেটাও হচ্ছে না। আর একই গ্রুপে একাধিক শিক্ষক ভিডিও আপলোড করায় বা একাধিক ক্লাসের ভিডিও আপলোড করায় ক্লাসরুমের প্রাইভেসিও নষ্ট হচ্ছে।

এই সমস্যা সমাধানে অনেকে জুম বা এর মত অন্যান্য অনলাইন লাইভ কনফারেন্সিং/মিটিং অ্যাপ ব্যবহার করছেন। কিন্তু এসবে শিক্ষার্থীদের সাথে উভয়মুখী যোগাযোগ সম্ভব করা গেলেও আরো অনেক বাড়তি ঝামেলার হাত থেকে মুক্তি মেলেনি। যেমন, প্রতিটা ক্লাসরুমের লিংক ও পাসওয়ার্ড শেয়ার করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সাথে। সেসব লিংক ও পাসওয়ার্ড জেনে বহিরাগত কেউ ক্লাসে ঢুকে পড়ছে কিনা সেটা তদারকিরও সুযোগ থাকছে না যেহেতু শিক্ষক ক্লাস নেয়ায় ব্যস্ত। ফ্রি অ্যাপগুলোয় আছে ক্লাসের সময়ের সীমাবদ্ধতা, ফিচারের সীমাবদ্ধতা। আর গ্রাহকের তথ্য অনলাইনে বিক্রি করে আয়ের ব্যাপার তো থাকছেই।

কোচসিসকে আমরা জুম বা গুগল মিট বা অন্য কোনো অনলাইন কনফারেন্স অ্যাপ এর সাথে তুলনা করতে চাই না। কারণ, কোচসিসের প্রধান ফিচার লাইভ ক্লাস নয়। কোচসিস মূলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এইজন্য আমরা সবচেয়ে সহজে লাইভ ক্লাস ইমপ্লিমেন্ট করতে পেরেছি যেটা আর কেউ পারেনি।

শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের সাথে ক্লাসের কোনো লিংক বা পাসওয়ার্ড শেয়ার করতে হয় না, টাইম সেট করতে হয় না। সব কাজ কোচসিসে আগে থেকেই তৈরি থাকে। যার দায়িত্বে থাকে প্রতিষ্ঠানের এডমিনিস্ট্রেশন। শিক্ষার্থীদের কোচসিসে এন্ট্রি বা ভর্তির সময় তাদের ক্লাস বা ব্যাচ সেট করা থাকে। আবার ক্লাস শিডিউল বা রুটিন সেট করতে গিয়ে ক্লাস কোন সময় হবে এবং কোন শিক্ষক নিবেন সেটাও প্রতিষ্ঠানের এডমিন নিজেই সেট করতে পারেন। এতে করে বাড়তি কোনো কাজের ঝামেলা শিক্ষককে বইতে হয় না। আর অনলাইন ক্লাসে যে একান্তই তাঁর ঐ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কারো অনুপ্রবেশের সুযোগ নেই, সেটাতেও নিশ্চিন্ত হন।

শিক্ষার্থীদেরও অনেক ঝামেলা কমে। তাদের নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বারে ক্লাস শুরু হওয়ার সাথে সাথেই এসএমএস চলে যায়। ফলে কেউ ইন্টারনেটের বাইরে থাকলেও নোটিফিকেশন পায়।

কারোরই কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করতে হয় না। ব্রাউজার থেকে কোচসিসে লগইন করে এক ক্লিকেই ক্লাসে জয়েন করতে পারেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবাই। ক্লাস চলতে পারে টানা দুই ঘণ্টারও বেশি সময় পর্যন্ত।

পুরো ক্লাস চলাকালীন সময়ে আছে লাইভ চ্যাটের সুযোগ। শিক্ষক চাইলে তাঁর স্ক্রিন শেয়ার করতে পারেন। চাইলে লিখতে পারেন বা দেখাতে পারেন যেকোনো প্রেজেন্টেশন বা ভিডিও। মিউট করে রাখতে পারেন শিক্ষার্থীদের। আবার শিক্ষার্থীদের সুযোগ আছে হাত তোলার, তখন তার নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন শিক্ষক।

পাশাপাশি আছে ব্যাচ বা ক্লাসভিত্তিক লেকচারশিট শেয়ারের সুযোগ।
আর কোচসিসের রেগুলার ফিচার – নোটিশ, রেজাল্ট, পেমেন্টের সব তথ্য রাখার সুযোগ তো আছেই।

কোচসিস এর এই প্রিমিয়াম সেবা লাইভ ক্লাস ফিচার এর ব্যবহার শুধু কোভিড-১৯ এর মত দুর্যোগপূর্ণ প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। সামনে এর ব্যবহার চলবে পাবলিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ছায়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্লাস কার্যক্রম চালু রাখার জন্য। ব্যবহার করবেন তাঁরা যাঁরা একেবারে নিজের মত করে অনলাইন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করতে চান। কোনো ক্লাসরুম ভাড়া না করেই দেশব্যাপী বা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে পারবেন যেকোনো বিষয়ের উপর তাঁর অর্জিত জ্ঞান। শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা, ক্লাস নেয়া, লেকচারশিট দেয়া, কোর্সের বিল পাঠানো, নোটিশ দেয়া থেকে শুরু করে সবটাই হবে অনলাইনে এবং পুরোটাই থাকবে তাঁর নিজের নিয়ন্ত্রণে।

কোচসিস-এর ডেভেলপমেন্ট একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের টিম প্রতিনিয়ত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে একে আরো সমৃদ্ধ করার জন্য। গ্রাহকদের চাহিদা মাথায় রেখে সামনে আরো অনেক নতুন ফিচার সংযোজন হবে।

এই প্ল্যাটফর্মে যে কেউ চাইলে যেন স্বাচ্ছন্দ্যে যোগ দিতে পারেন, তাই সাধ্যের মধ্যে প্রাথমিক ইনস্টলেশন ফি রাখা হয়েছে। এর বাইরে গ্রাহকেরা দিচ্ছেন মাসিক সাবস্ক্রিপশন চার্জ, সেখানেও আমরা ছোট বা বড় কোনো বিভেদ রাখিনি। দুইশ থেকে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী নিয়ে চলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য কোচসিস এর সব প্রিমিয়াম একাউন্টে একই ফিচার। সাবস্ক্রিপশন ফি-র পার্থক্য রাখা হয়েছে শিক্ষার্থীর সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে, সেটাই আমাদের যৌক্তিক মনে হয়েছে।

কোচসিসের ডেমো একাউন্ট থেকে ঘুরে আসুন এখনই। আর দেখেই সিদ্ধান্ত নিন, যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে। কোচসিস-এর আওতায় না আসার একটাই কারণ থাকতে পারে, কোচসিস সম্বন্ধে না জানা। সেটা বলার সুযোগ যে এখন আর নেই!