কোচসিস এর ‘লাইভ ক্লাস’ ফিচার এর মাধ্যমে এখন আর ক্লাসরুমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না পাঠদান। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থাকা যে কেউই আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হওয়ার সুযোগ পাবে। ইন্টারএকটিভ ক্লাসগুলোতে শুধু দেখাই নয়, তারা কথাও বলতে পারবে। সাথে চলবে লাইভ চ্যাট। এক দিনে যতগুলো ইচ্ছে লাইভ ক্লাস নেয়া যাবে। লাইভ ক্লাসের সেশনে সময়ের কোনো লিমিটেশন নেই। একজন শিক্ষকের একটি লাইভ সেশনে একসাথে সর্বোচ্চ ৭০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারবে। তবে আমরা সর্বোচ্চ ৫০ জনের কথা বলি, যাতে ক্লাসের গুণগত মানে ক্ষতি না হয়। শুধু তা-ই না, একইসাথে একাধিক শিক্ষকও একাধিক ক্লাস নিতে পারবেন। এখানেও কোনো লিমিটেশন নেই। নেই লিংক বা পাসওয়ার্ড শেয়ারের ঝামেলা।
ব্যাচভিত্তিক ক্লাস শিডিউল তৈরির সাথে সাথে লাইভ ক্লাসের সবকিছুই তৈরি হয়ে যাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। শিডিউলে উল্লেখিত সময়ের দশ মিনিট আগে লাইভ ক্লাস আইকন দেখা যাবে শিক্ষকের পোর্টালে। এর ফলে, বেঁধে দেয়া সময়ের আগে চাইলেও ক্লাস নেয়া যাবে না। আর ক্লাস শুরুর সাথে সাথেই সেই ব্যাচের সব শিক্ষার্থীর মোবাইলে ক্লাসের ব্যাপারে এসএমএস নোটিফিকেশন চলে যাবে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের একাউন্টে লগইন করার পর ক্লাসে জয়েন করার বাটন দেখতে পাবে। এতে ক্লিক করলেই তাকে লাইভ ক্লাসে রিডিরেক্ট করা হবে। ক্লাসে জয়েন করার সাথে সাথে তাদের উপস্থিতিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ে নিবে কোচসিস। যে উপস্থিতির রিপোর্ট শিক্ষক ও শিক্ষার্থী নিজেরা নিজেদের পোর্টালে যেকোনো সময় দেখে নিতে পারবেন।
লাইভ ক্লাস চলাকালীন সময়ে যেকোনো শিক্ষার্থীকে মিউট করে দিতে পারেন শিক্ষক। চাইলে সবাইকেই মিউট করে দিতে পারেন এক ক্লিকে। কিংবা যেকোনো একজনকে কথা বলার সুযোগ দিতে তাকে ছাড়া অন্য সবাইকে মিউট করে দিতে পারেন। এছাড়াও ক্লাস শুরুর আগে শিক্ষক প্রয়োজনবোধ করলে সবাইকে মিউট রেখে কিংবা সবার ক্যামেরা অফ রেখেই ক্লাস শুরু করতে পারেন। এতে করে ক্লাসে সংযুক্ত হওয়ার সময়েই সবাই মিউট অবস্থায় বা ক্যামেরা অফ অবস্থায় সংযুক্ত হবে। মিউট থাকার সময় কেউ কথা বলতে চাইলে হাত তোলার ফিচার আছে। তাতে কেউ হাত তুললে শিক্ষকের কাছে নোটিফিকেশন যাবে যে সে কিছু বলতে চায়। যদিও ক্লাস চলাকালীন লাইভ চ্যাটও চলমান থাকবে। এই লাইভ চ্যাটে আবার নির্দিষ্ট কারো সাথে প্রাইভেট চ্যাট করার সুযোগও আছে।
লাইভ ক্লাসে ভিডিওর পাশাপাশি স্ক্রিন শেয়ার করতে পারবেন শিক্ষক। যেকোনো প্রেজেন্টেশন বা ইলাস্ট্রেশন বা যেকোনো এপ্লিকেশনও সরাসরি দেখাতে পারবেন শিক্ষার্থীদের সামনে। শিক্ষার্থীরা তার শেয়ার করা স্ক্রিন দেখার পাশাপাশি তার কথাও শুনতে থাকবে। অনেকটা অফলাইনে প্রজেক্টরে ক্লাস নেয়ার মত করে ক্লাস নিতে পারবেন অনলাইনে।
ইন্টারনেট সংযোগ দুর্বল হলে শিক্ষক বা শিক্ষার্থী প্রয়োজনমত তাদের ব্যান্ডউইথ সেট করে নিতে পারবেন। লো ব্যান্ডউইথ, লো ডেফিনেশন, স্ট্যান্ডার্ড ডেফিনেশন, হাই ডেফিনেশন এই চারটি প্রকারভেদ দেয়া আছে। লো ব্যান্ডউইথ-এ শিক্ষার্থীর ক্যামেরা বন্ধ হয়ে যাবে, শুধুমাত্র কথা শুনতে ও বলতে পারবে। সে হিসেবে লো ডেফিনেশন দিয়েও কাজ চালানো সম্ভব। লো ডেফিনেশনে আমরা দেখেছি ৩০/৩২ কেবিপিএস ব্যান্ডউইথ খরচ হয়। এক ঘণ্টা ক্লাস করলে এই হিসেবে একজন শিক্ষার্থীর যাবে ১১৫ থেকে ১২০ মেগাবাইট ডাটা। স্ট্যান্ডার্ড ডেফিনেশনে ৭০ কেবিপিএস ব্যান্ডউইথ খরচ হয়। এক ঘণ্টার ক্লাসে যাবে ২৫০ মেগাবাইট ডাটা।